Labels

Main Tags

জুই ও পলাশের গল্প – ৪র্থ পর্ব: অপেক্ষা শেষে দেখা, কিন্তু…

জুই ও পলাশের গল্প – ৪র্থ পর্ব: অপেক্ষা শেষে দেখা, কিন্তু


জুই ও পলাশের প্রেমের গল্প – পর্ব ৪
(পূর্ণ আবেগ, টানাপোড়েন ও বাস্তবতায় মোড়ানো একটি আধুনিক প্রেমকাহিনি)


✒️ লেখক: মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম


📚 সিরিজ: [জুই ও পলাশের প্রেমের গল্প]


📌 পর্ব: ৪





শুরুতেই এক ঝলক...


> “ভালোবাসা যদি নদী হয়, তবে আমি স্রোত… তুমি তীর।
কখনও কাছাকাছি, আবার কখনও দূরত্বের নদীজলে মিলিয়ে যাই…
কিন্তু আমরা কি একসাথে হাঁটতে পারি?
সেই একটুখানি সময় কি তুমি আমায় দেবে, জুই?”






পর্ব-১






---

১. দেখা নেই বহুদিন…


পলাশের চোখে এখন কেবল স্মৃতির আলোছায়া।
জুইয়ের সেই হাসি, চঞ্চলতা, অভিমান – সবই যেন সময়ের পেছনে ছুটে যাওয়া কিছু বালুকণা। শেষবার দেখা হয়েছিল তিন মাস আগে, কলেজ ফেস্টের দিনে। তারপর?
নীরবতা।
মেসেঞ্জারে পাঠানো মেসেজগুলো এখনো “Seen” হয় না।
কল করলে “ব্যস্ত”, কিংবা “রিচেবল না”।
পলাশ জানে, কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু কী?

---

২. জুইয়ের অনুপস্থিতি ও মনের দ্বন্দ্ব


জুইয়ের হারিয়ে যাওয়া যেন পলাশের পৃথিবী থেকে রঙ কেড়ে নিয়েছে।
সেই মেয়েটা, যে প্রতিদিন অন্তত একবার কল দিত, আজ তিন মাস ধরে একটাও বার্তা পাঠায়নি!
> “আমি কী ভুল করেছি?”
“কেউ জুইকে কন্ট্রোল করছে নাকি?”
“অথবা ও আমার জন্য অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছে?”


এইসব প্রশ্ন পলাশকে প্রতিনিয়ত ছুঁয়ে যায়।
সন্ধ্যা হলে বাইকে উঠে সে জুইদের গলির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।
কিন্তু কিছুই ঘটে না।



---




পর্ব-২












৩. হঠাৎ একদিন...


বৃষ্টিভেজা এক বিকেল।
পলাশ সেই পুরনো পার্কে বসে আছে, যেখানে একসময় তারা দুজন বহু সন্ধ্যা কাটিয়েছে।
হঠাৎ... পিছন থেকে পরিচিত এক কণ্ঠস্বর,
> “পলাশ…?”


পলাশ চমকে ফিরে তাকায়।
জুই!
সে দাঁড়িয়ে আছে, একান্ত নিঃসঙ্গতায় ভেজা চোখে।


---

৪. জুইয়ের চোখে জল…


পলাশ কিছু বলার আগেই জুই বলে ওঠে,
> “পলাশ, আমি জানি তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছো।
কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি নিজেও হেরে গেছি সময়ের কাছে।”


পলাশ বুঝে উঠতে পারে না।
সে জানতে চায়,
“তুমি এতদিন কোথায় ছিলে? কেন হারিয়ে গিয়েছিলে?”
জুই একটানা বলে চলে…






পর্ব-৩



৫. জুইয়ের কষ্টের গল্প


জুইয়ের পরিবারে হঠাৎ করে বিশাল এক সংকট।
বাবা চাকরি হারান, মা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জুইকে জোর করে বিয়ের কথা উঠায় পরিবার।
তাকে মোবাইল, ফেসবুক, মেসেঞ্জার সব থেকে আলাদা করে রাখা হয়।
সে তখন বারবার চেষ্টা করেছে পালিয়ে আসার।
কিন্তু বাস্তবতার শিকলে আটকে ছিল।
> “তুমি জানো, আমি নিজেকে কতবার প্রশ্ন করেছি—
পলাশ থাকলে কী হতো?”


> “কিন্তু আমায় তো কেউ তোমার কাছে যেতে দেয়নি…”





---

৬. আবার কি শুরু হবে?


পলাশ চুপচাপ শুনছিলো।
তার হৃদয় গলে যাচ্ছে জুইয়ের কান্নার শব্দে।
> সে বললো, “তোমাকে ফিরে পাওয়ার জন্য আমি প্রতিদিন প্রার্থনা করেছি।
আর আজ তুমি আমার সামনে।”


জুই অবাক হয়ে তাকায়।
চোখে কান্না, আর হৃদয়ে ছোট্ট একটুকরো আশা।



---


৭. কিন্তু… আবার বাধা?


ঠিক তখনই বাজে পলাশের ফোন।
জুই চমকে উঠে,
ফোন স্ক্রিনে ভেসে ওঠে এক অজানা নাম—
“রিয়া Calling…”
জুই ধীরে ধীরে পেছনে সরে যায়।
জিজ্ঞেস করে না কিছুই।
শুধু বলে, “পলাশ, আমার ভাগ্যে কি তোমাকে হারানোই লেখা ছিল?”





ছেলেদের ইউনিক নাম




---

৮. পলাশের জবাব…


পলাশ রিয়াকে কেটে দিয়ে বলে,
> “তুমি যে আমার গল্পের শুরু…
আর শেষটাও যদি হয়, তাহলে সেটা তোমার হাত ধরেই হোক।
আমি কাউকে দেইনি তোমার জায়গা, জুই।”


> “রিয়া একজন কলিগ। আর তুমি আমার হৃদয়ের অধিকারী।”


জুই এবার চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে।
তার চোখে অশ্রু, কিন্তু মুখে হাসি।







মেয়েদের ইউনিক নাম




---

৯. ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি


তারা দুজন আবার বসে পুরনো বেঞ্চে।
বৃষ্টির ফোঁটা এসে গায়ে পড়ে।
পলাশ ধীরে ধীরে জুইয়ের হাত ধরে।
> “তুমি যদি চাও, আমরা আবার শুরু করতে পারি…
ভুলে যাই আগের দুঃসময়গুলো।”


জুই মাথা নিচু করে বলে,
> “আমি তো কখনো তোমাকে ছেড়ে যাইনি…
কেবল সময়ের কাছে হার মেনেছিলাম।”




---

১০. কিন্তু সব কি সহজ হবে?


পলাশ ও জুই আবার কথা বলা শুরু করলো।
প্রতিদিন রাতে একে অপরকে “শুভরাত্রি” জানানো,
ছোটখাটো গল্পে ঘুমিয়ে পড়া, আবার সেই প্রেম।
কিন্তু… সমাজ, পরিবার, ও তাদের পুরনো ক্ষত সব কি ভুলে যাবে?
এখনো অনেক প্রশ্ন বাকি…



---

📌 শেষ কথা (এই পর্বের শেষে):


জুই ফিরে এসেছে, পলাশের হৃদয়ে আবার আলো জ্বলেছে।
কিন্তু প্রেম মানে শুধু একে অপরকে পাওয়া নয়,
প্রেম মানে সময়, সংগ্রাম, প্রতিশ্রুতি… আর শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার সাহস।



👉 পরবর্তী পর্বে থাকছে:

পলাশ-জুইয়ের সম্পর্ক সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
পরিবারে ঝড়, এবং পলাশের সাহসী সিদ্ধান্ত
জুই কি এবার নিজেকে রক্ষা করতে পারবে?