Labels

Main Tags

🌿 জুম্মার দিনের অজানা কিছু সত্য, যা হয়তো তুমি জানো না!

শুনো বন্ধু, জীবনের ব্যস্ততার ভিড়ে আমরা অনেক সময় এমন কিছু ভুলে যাই, যা আমাদের জন্য অনেক বড় নিয়ামত। ঠিক যেমন জুম্মার দিন। এটা শুধু সপ্তাহের একটা দিন নয়, বরং এটা তোমার জন্য রহমত, বরকত আর গুনাহ মাফের বিশাল সুযোগ।

চলো, এমন কিছু বিষয় শেয়ার করি, যা অনেকেই জানে না —

এই দিনটাই হলো সপ্তাহের সেরা, আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয়।

আদম (আ.) কে এই দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে।

জান্নাতের দরজা এই দিন খোলা হয়।

এই দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে।

একটা বিশেষ সময় আছে, যখন তুমি মন থেকে দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন।

যারা জুম্মার দিন ইবাদতে গাফেল, তারা আসলে নিজেদেরই ক্ষতি করে।

সূরা কাহফ পড়লে পুরো সপ্তাহ আল্লাহর পক্ষ থেকে নূর (আলো) দেওয়া হয়।

সাহাবিরা জুম্মার দিন গোসল, আতর ব্যবহার, পরিষ্কার পোশাক পরাকে খুব গুরুত্ব দিতেন।

এই দিনকে 'সপ্তাহের ঈদ' বলা হয়, কারণ এটা আনন্দ, ইবাদত আর দোয়ার দিন।

জুম্মার নামাজ হলো এমন একটা ফরজ যা কোনো বিকল্প ইবাদতে পূর্ণ হয় না।

যতো আগে মসজিদে যাবে, সওয়াব ততো বাড়বে। এমনকি উট কোরবানির সমান সওয়াব পাওয়া যায়।

যারা খুতবা চলাকালীন কথা বলে, তারা জুম্মার ফজিলত থেকে বঞ্চিত হয়।

আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টুকু দোয়ার জন্য সবচেয়ে বরকতময়।

কবরবাসীদের ওপর এই দিনে রহমত বর্ষিত হয়।

জুম্মার দিনে দরুদ শরীফ পড়া অনেক বেশি সওয়াবের কাজ।


---

🌟 জুম্মার দিনের ফজিলত:

বন্ধু, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন —
“সবচেয়ে উত্তম দিন হচ্ছে শুক্রবার। এই দিনেই আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনেই তাকে বের করা হয়েছে।"
(সহীহ মুসলিম)

আর তুমি জানো, যারা এই দিনে গোসল করে, সুন্দর জামা পরে, সুগন্ধি ব্যবহার করে, মসজিদে গিয়ে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে, তারা এক সপ্তাহের গুনাহ থেকে মুক্তি পায়?
(সহীহ বুখারী)

এই দিনে এমন এক সময় আছে, যখন বান্দা যদি মন খুলে দোয়া করে, আল্লাহ অবশ্যই সেই দোয়া কবুল করেন।
(সহীহ মুসলিম)


---

জুম্মার দিনের করণীয়:

আল্লাহর পক্ষ থেকে এই দিনের ফজিলত নিতে হলে কিছু কাজ অবশ্যই করতে হবে—

✔️ ভালোভাবে গোসল করা।
✔️ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামা পরা।
✔️ আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করা।
✔️ সূরা কাহফ তেলাওয়াত করা।
✔️ বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা।
✔️ মসজিদে সময়মতো যাওয়া।
✔️ খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা।
✔️ আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত বেশি বেশি দোয়া করা।
✔️ গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা এবং বেশি বেশি ইবাদতে মনোযোগ দেওয়া।


---

🌺 শেষ কথা:

বন্ধু, আমরা জীবনের অনেক কিছু নিয়ে ভাবি, কিন্তু জুম্মার দিনের মতো বড় সুযোগ হয়তো মিস করে ফেলি। এটা শুধু আরেকটা সাধারণ দিন নয়, বরং জান্নাতের কাছাকাছি যাওয়ার দরজা।

তুমি যদি সত্যিই আল্লাহর সন্তুষ্টি চাও, জীবনে বরকত চাও, শান্তি চাও, তাহলে জুম্মার দিনকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন বানাও।

আসো, আমরা এই দিনটাকে শুধু ছুটি বা আরাম করার দিন না ভেবে, ইবাদত, দোয়া আর নেক কাজের দিন বানাই। তবেই আমরা আসল ফজিলত পাবো।

🌸 জুম্মা মোবারক ভাই/আপু, আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই দিনের হক আদায় করার তাওফিক দিন।